যে গান বাংলাদেশের ইতিহাস বদলে দিয়েছিল

আজ প্রায় সব বাঙালি মুসলমানের বাড়িতেই বাজছে রোজার ঈদের সেই গান৷ সংগীতপ্রিয় ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ইসলামি গানও শোনেন নিয়মিত৷ একসময় সবই ছিল কল্পনাতীত৷

তখন বিশ শতকের চতুর্থ দশক সবে শুরু হয়েছে৷ ভাটিয়ালী, পল্লিগীতি ও ইসলামি গানের শিল্পী হিসেবে পরে বেশি বিখ্যাত হলেও আব্বাসউদ্দীন আহমদ তখনো তত বিখ্যাত নন৷ ১৯৩০ সালে ‘কোন বিরহীর নয়নজলে বাদল ঝরে গো’ আর ‘স্মরণ পারের ওগো প্রিয়’ -এই দুটি গানের রেকর্ড প্রকাশের সুবাদে যে পরিচিতিটুকু হয়েছিল তা অবশ্য কিছু নজরুল গীতির রেকর্ডের মাধ্যমে অনেকটা বেড়েছে৷ তার গাওয়া নজরুল গীতি ‘বেনুকার বনে কাঁদে বাতাস বিধুর’, ‘অনেক ছিল বলার যদি সেদিন ভালোবাসতে’, ‘গাঙে জোয়ার এলো তুমি ফিরে এলে কই’, ‘বন্ধু আজও মনে রে পড়ে আম কুড়ানোর খেলা’ তখন ভালোই চলছে৷ একদিন নতুন একটা আইডিয়া এলো তরুণ আব্বাসউদ্দীনের মাথায়৷ কাজী নজরুল ইসলামকে বললেন, ‘‘কাজীদা, পিয়ারু কাওয়াল, কাল্লু কাওয়ালরা যে উর্দু কাওয়ালি গায়, তাদের গান তো শুনি অনেক বিক্রি হয়, বাংলায় এই ধরনের ইসলামি গান দিলে হয় না? আপনি তো জানেন, কিভাবে কাফের কুফর ইত্যাদি বলে বাংলার মুসলমান সমাজের কাছে আপনাকে অপাঙক্তেয় করে রাখার জন্য আদাজল খেয়ে লেগেছে একদল ধর্মান্ধ৷ আপনি যদি ইসলামি গান লেখেন, তাহলে মুসলমানদের ঘরে ঘরে আবার উঠবে আপনার জয়গান৷”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *