শ্রীলঙ্কায় নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগেও থামেনি প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ। এদিকে সরকার গঠনেও বেকায়দায় আছেন নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে।
স্বাধীনতার পর সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক দুরবস্থায় পড়া দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কায় বেশকিছু দিন ধরেই সরকারবিরোধী বিক্ষোভ চলছে। সবশেষ সপ্তাহ ধরে চলা সঙ্ঘাতপূর্ণ বিক্ষোভের জেরে ৯ মে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে। তবে তার ছোট ভাই দেশটির প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে পদত্যাগ না করায় বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে দেশটিতে।
সপ্তাহ ধরে চলা বিক্ষোভে অন্তত ৯ জন নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছে তিন শতাধিক মানুষ।
সরকারবিরোধীরা মনে করে, প্রেসিডেন্টের অব্যবস্থাপনার কারণেই ১৯৪৮ সালে স্বাধীনতার পর দেশটি সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক দুরবস্থায় পড়েছে।
মাহিন্দা রাজাপাকসের পদত্যাগের পর বৃহস্পতিবার (১২ মে) সাবেক পাঁচ বারের প্রধানমন্ত্রী ও ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টির নেতা রনিল বিক্রমাসিংহকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি।
কিন্তু ২২৫ আসনের সংসদে একটিমাত্র আসনের অধিকারী দলের নেতা প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় মন্ত্রিসভা গঠন তার জন্য বেশ দুরূহ হয়ে উঠেছে।