দুই দিনব্যাপী যুক্তরাষ্ট্র-আসিয়ান (অ্যাসোসিয়েশন অফ সাউথইস্ট এশিয়ান নেশনস) সম্মেলনে মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত বেসামরিক সরকারের প্রতিনিধিত্ব করতে, একটি খালি আসন রাখার বিষয়ে একমত হয়েছে বাইডেন প্রশাসন এবং আসিয়ান নেতারা।
জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের এক মুখপাত্র ভিওএ-কে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ওয়াশিংটনে সম্মেলনটির আয়োজন করেছেন।
আরেকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন যে পুরো বৈঠকজুড়েই মিয়ানমার ‘নিবীড় আলোচনার বিষয়বস্তু’ হয়ে থাকবে এবং খালি আসনটি ‘যা হয়েছে তার প্রতি অসন্তোষ এবং সামনে আরো ভালো একটি পথের প্রতীক্ষায় আমাদের আশাকে’ প্রতিফলিত করবে।
গত বছর আসিয়ানের ‘পাঁচ দফা ঐকমত্য’ সত্ত্বেও জান্তার মানবাধিকার লঙ্ঘন অব্যাহত থাকায় প্রশাসনিক কর্মকর্তারা হতাশা প্রকাশ করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্র একাধিক প্রস্তাবকে সমর্থন করছে। এর মধ্যে নির্বাসনে থাকা মিয়ানমারের জাতীয় ঐক্যের সরকার (ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট বা এনইউজি) এর সাথে আসিয়ানের অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগ আরম্ভের প্রস্তাবও রয়েছে। মালয়েশিয়ার এই প্রস্তাবের প্রতি মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন সামরিক জান্তা অতি দ্রুতই নিন্দা জানিয়েছিল।
পাঁচ দফা ঐকমত্য ব্যর্থ হওয়ার মূল কারণগুলোর একটি হচ্ছে, এখনো পর্যন্ত আসিয়ান শুধুমাত্র মিয়ানমারের জান্তার সাথেই আলাপ চালিয়েছে। এমনটি মনে করেন গ্রেগরি বি পোলিং, যিনি সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া বিষয়ক সিনিয়র ফেলো।
ভিওএ-কে পোলিং বলেন, এনইউজি সংশ্লিষ্ট বাহিনী এবং জাতিগোষ্ঠীগত সশস্ত্র সংগঠনগুলো লড়াইতে জয়ী হচ্ছে এবং দেশের বেশিরভাগ এলাকা নিয়ন্ত্রণ করে। তাই তাদের সাথে আলাপ না করাটা দিনকে দিন আরো উদ্ভট বলে মনে হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা সম্মেলন চলাকালে এনইউজি প্রতিনিধিদের সাথে সাক্ষাৎ করবেন।